Tuesday, 26 November 2013

ফিরে পাওয়া তুমি

হারানো পৃথিবীর ওপার হতে ভেসে আসা সেই সুর, 
বর্তমানের বাস্তবের অস্তিত্ব কে প্রশ্ন করে- 
কেন আজ তুমি খুঁজে ফের সেই সুরখানি 
হারিয়েছ যা দ্বিধার জালে জড়িয়ে ? 
ফিরে আসা অতীত প্রতি মুহুর্তে শুধু জানান দেয় 
চির সত্য শুধু গাঁথা আছে অন্তরের গভীরে , 
যেখানে দ্বার বন্ধ রেখে আগলেছে তারে 
হৃদয়ের মণিকোঠায় - আমার সেই আমি| 

ছবি ভেসে ওঠে অসুস্থ সেই ম্লান দীর্ঘায়ত চোখের 
স্বপ্নাতুর হাসির , এনে দেয় জোয়ারের ঢল- 
ভাসিয়ে দেয় দ্বিধা দ্বন্দের সব বেড়াজাল, 
ফিরে পাওয়া অতীত উড়িয়ে নিয়ে যায় মোরে, 
বসে তার পাশে যদি হাতখানি নিয়ে হাতে, 
ফিরে পাই সেই সুর সেই ছোঁয়া- 
দিতে পারি ফিরায়ে তারে মোর জীবনের উত্তাপ| 

কখনো দেখেছি তাঁরে মোনালিসার ঠোঁটের কোনে- 
কখনো বা পেয়েছি তারে বনলতার ঐন্দ্রিয়তায়, 
কখনো বা একেছি তাঁরে জুলিয়েটের মরমী রূপে- 
আজ ও ফিরে পাই মুহুর্তের কম্পন , 
হৃদয়ের অলিন্দে শিরা উপশিরায় - 
বিধাতার আশীর্বাদে আজ ও সে আমার মন- 
আমার স্বপ্নের সেই পরী- 
সিংহাসনে বিরাজিছে যে সে , যুগান্তের ও পারে, 
নিজেকে হারায়ে খুঁজি তাহারই নয়নো মাঝে

তুমি

ভাবছি শুধু এখন 
করছো তুমি কি?
ব্যাস্ত কি আজ খুব
কাজ কি অনেক বাকী?

পাইনি কোন আওয়াজ
দুদিন হলো তাই,
ভাবছি বসে আমি
কি যে করি ভাই?

মন যে মানে না
হারিয়ে খালি যায়,
উড়তে যদি পেতাম
পৌছে যেতাম হায়!

দেখতেপাই সে হাসি
সুর্য কে যে দেয় লাজ,
ভাবতে শুধুই থাকি
বন্ধ করে কাজ|

স্বপ্নে যখন দেখি
ঝড়ের মাতন পায়,
স্বপ্ন ভাঙ্গার পরে
কেন যে হারিয়ে যায়?

দিনের শেষে আমি
ভাবতে যখন বসি,
সামনে শুধুই আমার
ভাসে যে সেই হাসি|

মনে যে শুধু পরে
শব্দ গুলো তোমার,
কানের মাঝে সদাই
বাজে যে তা আমার|

সত্যি যদি আজ
উড়তে পেতাম আমি,
পৌছে যেতাম সেথায়
যেথায় আছো তুমি|

Friday, 22 November 2013

একটা স্বপ্ন আসুক

দেহের উত্তাপ জানান দিয়ে যায় জ্বরটা জাঁকিয়ে বসেছে, 
নতুন শীতের উদাস রাতে, শিরশিরানি এক অদ্ভুত ভালোলাগা, 
উপরওয়ালা কে মাসকা মেরে বলি- দাও না আমায় একটা স্বপ্ন - 
হঠাত ঘুম ভাঙ্গা রাতে যদি দেখতে পাই - 
কম্বলের উত্তাপের মাঝে কপালে রাখা সেই ঠান্ডা হাতের ছোঁয়া, 
স্বপ্নের গলিতে কুয়াশার ছায়া, 
উষ্ণ ঠোঁট যেন শুষে নিতে চায় সব উত্তাপ এ দেহের, 
ভাইরাসের কোলাহল হঠাত থেমে গিয়ে যেন- 
শুধুই উত্তাল রক্তের কল্লোলধ্বনি, 
এসেছে ফিরে সেই স্বপ্নের ভগ্নাংশ, 
যা শুধুই রয়েছে আমার কল্পসঙ্গীতের প্রথম সুর হোয়ে| 
ঝকঝক দাঁতের একটি মিষ্টি হাসির ছোঁয়া- 
নিঃশ্বাসের শ্বব্দে আমার প্রানের ভ্রমর গুঞ্জে ওঠে , 
বিদ্যুতের ঝিলিক আমার প্রতিটি প্রত্যঙ্গের ধমনীতে, 
ও এসেছে আমার পাশে | 
ঠিক যেন ফিরে পাওয়া আমার সেই হারানো স্বপ্নের ভগ্নাংশ- 
শরীরের শিউলির গন্ধ করেছে আমায় মাতাল, 
এক হয়ে যায় অস্তিত্বের প্রতিটি কোষ, 
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পরে আমার স্বপ্নের বালুকাবেলায়, 
সেই চেনা সুরের ঝঙ্কার ওঠে তন্ত্রীতে| 
হালকা রাতবাতির আলোয় শিল্যুয়েটে দেখতে পাই - 
এক হোয়ে যাওয়া প্রকৃতির সেই দুই সৃষ্টির উদ্দামতা| 
হেই ভগবান- আসুক না সেই স্বপ্নের ভালোলাগা, 
আসুক না আমার জ্বরো রাতের ঝড় 
ভাসিয়ে নিয়ে যাক না মোরে - ওই দিগন্তের কাছে|

কেন তুই

তুইটা আমায় কবিতা লেখায় 
তুইটা আমায় ভাবতে শেখায় , 
তুইটা আমায় হাসতে বলে 
তুইটা আমার মনে খেলে, 
তুইটা আমি পেয়েছি খুঁজে 
তুইটা আমার মনের ভাঁজে, 
তুইটা আমায় পাগল করে 
তুইটা যখন মনে পড়ে, 
তুইটা যখন বলিস কথা 
তুইটা বুঝিস মনের ব্যাথা, 
তুইটা আসিস স্বপ্নে আমার
তুইটা আমার সুখের খামার,
তুইটা আমায় করিস মাতাল
তুইটা ভাবাস আকাশ পাতাল,
তুইটা যখন মন ভার করিস
তুইটা আমায় শাস্তি দিস,
তুইটা যখন উঠিস হেসে
তুইটা যেন ঠিক আমার পাশে,
তুইটা যে সেই লুকিয়েছিলি
তুইটা আমার মনেই ছিলি,
তুইটা যখন ছোট ছিলি
তুইটা খেলার সাথী ছিলি,
তুইটা যখন হারিয়ে গেলি
তুইটা আমায় ভুলেই গেলি,
তুইটা যে ঠিক আমারই ছিলি
তুইটা তো তাই ফিরে এলি,
তুইটা আবার জীবন শেষে
তুইটা এসে বসবি পাশে,
তুইটা তো ঠিক জন্মপরে
তুইটা ফিরে আসবি ঘরে|

Wednesday, 20 November 2013

মন

মন কে ছেড়ে মন কি রে ভাই থাকতেপারে  একা? 
মন যদি পায় মনের হদিশ যেটাকাঁচা পাকা, 
মন যে আমার খুশীর হাওয়ায় মজিয়েছে মোর  মন 
মন কে তুমি মন দিয়েছ ,ভাবছ সারাক্ষন| 
মন টি আমার ছোট্ট ছিল মনের আড়ালেতে 
মন যে তখন মনের দিশা পায়নি খুজে পেতে| 
মন তো তখন মিষ্টি হেসে মনকে দিত ডাক, 
মন তখনি শুধরে দিত মনের নেওয়া বাঁক| 
মন টা যে রে লিখত চিঠি মনের রাখা ডাকে, 
মনের কথা মন ভাবত চিঠি পড়ার ফাকে| 
মন কে যখন মনটি লিখে পাঠাতো সেই জবাব, 
মন  তখনই পড়ত সেটা ভেবে মনের স্বভাব| 
মনটা যে ভাই নিজের রূপে মনকে দিল ছোঁয়া, 
মন তো তখন মনের মাঝে করছে আসা যাওয়া| 
মন কে সেদিন মনটা শুধু ফেললো ভালবেসে, 
মন বোঝেনি মনের ভাব মনের কথার ফাঁসে | 
মন ভেবেছে মনটা মনের পড়েনি কো বাঁধা, 
মনের কাছে মনটা ছিল চিরকালের ধাঁধা| 
মনটা সেদিন ভুল বুঝে যে মনকে দিল ছুটি, 
মনের কথা ভেবেই শুধু মনটা হল  দুখী| 
মন বিনা যে মনটা রে ভাই কাটালো বহু বছর 
মন ছিল না শুধুই ছিল মনের অন্য বহর| 
মন যে আবার হঠাত সেদিন মনের মাঝে মারল এসে উঁকি, 
মনের নামে আঁকা ছবিটা মনরে দেয়নি ফাঁকি| 
মনের স্বপ্নে মন তো ছিল চিরকালই পাগল, 
মনের নেশা মনের মাঝে খুলে দিয়েছে আগল| 
মন যে আমার চিরকালই মনের আপন প্রাণ, 
মন যে ছিল  মনের কাছে ভগবানের দান|

Tuesday, 19 November 2013

ভালোবাসা

কাজে অকাজে করছি ফোন, 
কোথায় যে আছে আমার মন| 
ঠিক যখন ই পড়ছে মনে, 
রিং টি আমার বাজছে কানে| 
কিভাবে যেন বুঝে ফেলিস 
তোকে আমি করছি যে মিস| 
সকাল বেলা ঘুম ভেঙ্গে যেই 
দিন কি রাত পাইনা তো খেই| 
মনটি তখন জানতে যে চায় 
ঘুমন্ত মুখটা কেমন দেখায়| 
সুর্যের হাসি দেখার পরে
আমায় কি তোর মনে পরে?
দিনের শুরু হয় না যে মোর
গলা না পেলে কাটে না ঘোর|
ব্যাস্ত দিনে কাজের মাঝে
মারিস উঁকি সকাল সাঁঝে|
লিখি যখন আমি ছড়া
তোর কথাটাই ভেবে সারা|
শুনতে পেলে মিষ্টি গলা
কাটাতে পারি সারা বেলা|
বছর ধরে ঋণ জমেছে
সুদের ভার তাই চেপেছে|
সেই হাসিটি দেখতে পেলে
মনটা ওঠে নেচে খেলে|
ষষ্ঠ 'ম' কারের এই যে নেশা
এটাই হলো ভালোবাসা

Monday, 18 November 2013

কবিতার উত্তরে

পড়তে পড়তে কবিতার প্রতিটি চরণ, 
কোথায় যে আজ নিজেকে হারালাম, 
উড়িয়ে দিয়ে উদাসী সেই চাদর, 
তোমার পাশে পৌছে আমি গেলাম | 

যে কথাটি না বলা ছিল সেদিন, 
গুছিয়ে বলতে না পেরে  যেন কেমন , 
অবাক চোখে তাকিয়ে তোমার পানে 
পাঠিয়েছিলাম  খেয়ালিপনার শমন| 

হয়তো সেদিন  পারিনি বোঝাতে তোমায়, 
তাইতো আজও রেখেছি তোমায় ঘিরে , 
সম্পর্কেরে পারিনি দিতে যে রূপ 
রেখেছি তারে সাজিয়ে অন্তরের গভীরে| 

আজও কি স্বপ্নে যখন এলিয়ে কালোচুল, 
মিষ্টি হেসে ছন্দে সুরে দিলে যে আমায় পুর্ণতার ছোঁয়া, 
পেরেছি তোমায় ফিরিয়ে দিতে সেই, 
ভীষণ রকম নিজের করে পাওয়া? 

মনের মাঝে পাইযে আমি আজ ও , 
মৌসুমী বাতাসের এই মাতন , 
তাইতো আমি সহজ হেসে বলি 
পেয়েছি ফিরে হারান সেই রতন| 

কথার মাঝে ফিরিয়ে দিয়ে কথা 
হয়নি সেদিন বুঝিয়ে ওঠার পালা, 
তাই তো বলি লাজ রেখে দাও আজ 
সকলেরে কই মিলিয়ে মোদের গলা| 

সব ভুলে আজ চলো না চলে যাই 
সেইখানেতে যেইখানে কেউ নাই, 
দুনিয়া ভুলে সব হারিয়ে মোরা 
মোদের যদি আবার ফিরে পাই|

অনুভব

আমার হাতের আঙ্গুলগুলো নিয়েছে আজ বোবা রূপ- 
কবিতা চাইছে ছুটি, 
সত্যি বিষন্নতা ছেয়ে ছিল দিনভর , 
গোধুলীর আকাশের হাসি আজ ছিল ম্লান| 
দিনের শুরুযে হয়নি আজ, 
শুধু অপেক্ষার রং ছিল ধুসর, 
আসেনি ভেসে তার শব্দের ঢেউ, 
বাজেনি ঝঙ্কার দুরাভাসে| 
মনের দরজার কপাট বাতাসের দাপটে ঝাপটেছে, 
শুধু একমুঠো হাসির জন্য মনের আকুতি, 
হাজার ব্যাস্ততার মাঝে শুন্যতা, 
বহুযুগ ধরে জমে থাকা অপেক্ষার এক ভগ্নাংশ- 
আজ আমায় দিনভর দেয় মনকুয়াশা| 
হঠাত মেঘের কোলে উঠলো রোঁদ, 
অজান্তে হাতের আঙ্গুলের পৌছে যাওয়া 
সেই সুরের খোঁজে যা শুধু দিনরাত্রি আজ বাজে আমার কানে, 
ভেসে আসে মনে হয় সেই দুর সাগরের ওপার থেকে, 
আকাশের গায়ে জ্বলে ওঠা শুকতারা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে উঠে বলে- ঐ এসেছে দ্বীপ হাতে সে তোমারই খোঁজে| 
পাগলা হাওয়া উড়িয়ে দিয়ে কুয়াশার জাল, 
সঞ্চারে সঞ্জীবনী আমার হাতের আঙ্গুলে, 
কবিতারে করি আলিঙ্গন - 
হে মোর মানসী, লহ মোর প্রেমের অঞ্জলি|

কলিকাল

ভগবান আজ ঘুমিয়ে আছেন, 
নীতিবাজ আজ জোচ্চোর, 
বিচারপতি ঘুসখোর 
শিক্ষক ব্যাবসাদার, 
শান্তিরক্ষক তোলাবাজ, 
ধর্মগুরু লম্পট, 
অঙ্গরক্ষক খুনী, 
গুরু ধর্ষণকারী , 
কলিকালের লম্বা লাইন| 

ভগবান আজ ঘুমিয়ে আছেন, 
ঘুষখোরের উন্নতি হয় চাকরীতে, 
লম্পটের জয়গান গায় ভক্তের দল, 
শিক্ষক সাহায্য করেন নকল করতে, 
বিচারপতি দন্ড দেন নির্দোষেরে, 
অসত রাজনীতিক আইন বানায়, 
পন্ডিতেরে পরিহাস করে ক অক্ষর গোমাংস, 
শান্তিরক্ষক ধর্ষনের দায়ে অভিয়ুক্ত, 
চিকিত্সক পয়সার জন্য হত্যা করে কন্যা ভ্রুণ, 
জাল ওষুধের কারবারী খোলেন চিকিত্সালয়, 
মুর্খ উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের , 
কলিকালের অনেক কাহিনী| 

সব কিছু ভুলে আজ ও স্বপ্ন কিন্তু দেখি- 
কবিতার অঞ্জলি দিয়ে যাই দুরবাসী প্রেয়সীর প্রতি, 
দুরুদুরু বুকে অপেক্ষায় থাকি কখন শুনতে পাব তার কন্ঠস্বর, 
ভগবানকে ধন্যবাদ দিই ফিরিয়ে দেওয়া হৃদয় রত্নের জন্য| 
আজ ও কৈশোরের অদম্য উত্সাহ ফিরে পাই অপেক্ষার মাঝে, 
যৌবনের উদ্দামতার ছোয়া পাই রক্তের অস্থিরতায়, 
ভালবাসা এর ই নাম- 
কলিকালের একাহিনীরও লেখক আমি ই| 
ভগবান হয়তো এখনো গভীর নিদ্রায় মগ্ন হননি|

Thursday, 14 November 2013

আমার বনলতা

আমার বনলতা ফিরিয়ে দিয়েছে আমার দিন রাত- 
বরষার সেই সন্ধ্যে কেমনে ভুলিগো তারে? 
ফিরে এল উত্তাল করে রক্তস্রোত - 
মনে পরে বিনুনী দোলান আমার সেই 
মানসীর আয়ত চোখের মিষ্টি হাসি, 
আজ শুধু কন্ঠের সেই জাদুমাখা ধ্বনি 
শুনি আমি বহুযুগ বাদে- 
কেন যেন কেঁপে ওঠে ঠোঁট 
দিতে তারে শুধু শব্দের ছোঁয়া| 

আজ শুধু কাঁটে অপেক্ষার পল 
কখন যে বেজে ওঠে সেই ধ্বনি 
ভেসে আসে সেই প্রিয় স্বরখানি- 
আদরের ছোঁয়া লাগা চোখদুটো যেন 
স্বপ্নের দেশে নিয়ে যায় মোরে | 

হায় রে বিধাতা , গল্পের শেষ যে লেখনি তুমি- 
এ জীবনে ফিরিয়ে দিলে যদি 
আমার সেই মুহুর্তগুলো, 
যাহারে হারিয়েছি আমি , 
পারিনি ফেরাতে মুখ পরিজন হতে, 
শুধু হারিয়েছি সেই বনলতা মোর, 
রেখেছি ফিরায়ে মুখ হৃদয়বিপরীতে, 
বহু যতনে যে তারে আজো সাজায়ে রেখেছি অন্তরে| 

আজ ও খুজে ফিরি সেই ষোড়শীরে, 
লালপাড় সাদা শাড়ী , আঁচল উড়ায়ে যেন 
পাখা মেলে ভেসে এল উদ্দাম ষোড়োশের পানে, 
উত্তাল বৈশাখী মন কেন যে নেয়নি উড়ায়ে তারে, 
আজও যে পাইনি উত্তর তার, 
সমুদ্র ধারে যেন দু হাত ছড়িয়ে আজ 
অপেক্ষায় আমি যদি ফিরে পাই বনলতা মোর| 

সোচ্চার হল নির্বাক হৃদয়ের প্রতিটি তন্ত্রী, 
শুধু ফিরে ফিরে আসে সেই মুখ সেই হাসি, 
বলে ফেলে তারে মুক্তির নিঃশ্বাসে হেসে উঠি আমি, 
লুকায়ে রেখেছি যারে বহুযুগ ধরে 
শুধু জানেন অন্তর্যামী| 
বনলতা তুমি ছিলে ত আমারই চিরকাল- 
চলে এস ফিরে, লিখে ফেলি গল্পের শেষপাতাগুলো 
যেখানে এসেছি ছেড়ে আমাদের সেই জীবনের 
পলগগুলো সব ,শেষ থেকে শুরু করে ফেলি আজ| 
হাত রেখে হাতে , পেতে মাথা বুকে 
শুধু দাও মোরে শুষে নিতে সব উত্তাপ, 
ছিড়ে ফেলে বন্ধনরশি,ভেসে যাই চলে 
দুর হতে দুরে ,পারবে না যেথা পৌছতে 
কোন দীর্ঘশ্বাস, শুধু আনন্দের কলধ্বনি 
ভরাবে আমাদের এই জীবনের ঘড়াখানি

একটি চিঠির একটি লাইন

একটি চিঠির কয়েকটি শব্দের সেই অনুরণন- 
সারাজীবন অসাধারন হয়ে থাকার চেষ্টা কেন? 

ভেবেও পাইনি খুজে থই, 
বলেও পারিনি বলতে তারে- 
ভাবনার দ্বার খুলে অপেক্ষায় আমি, 
শুধু যদি একবার সারা দাও মোরে| 

অতি সাধারন আমি মনের গহনে, 
ছিলে তুমি চিরকাল লুকিয়ে অন্তরে, 
বিধাতা কেন যে ভুলেছে অঙ্ক 
মেলাতে যে পারেনি তোমারে আমারে| 

সেদিন আকাশে যখন জমেছিল মেঘ, 
মৌসুমী হাওয়ায় ছিল ভেজা গন্ধ- 
মন খালি পাখা মেলে গিয়েছিল উড়ে 
জেনেও যে তোমার দ্বার আজ ও বন্ধ| 

মেঘের হাতে পাঠিয়ে বারতা 
অপেক্ষায় ছিল সেই বিভোর বালক, 
সুর্যের হাসি এসে যেই ছুয়ে গেল তারে 
কিছুতেই পরে না যে চোখের পলক| 

পশ্চিমের হাওয়া এসে বলে যায় তারে 
এখনো সে ভুলিতে পারেনি তোমারে, 
পুবের হাওয়ায় মিশিয়ে মিষ্টি নেশা 
ফেরত পাঠায়ে দিল যে একমুঠো আশা| 

ফিরে ফিরে আসে শুধু স্মৃতিগুলো আজ 
সযত্নে সাজায়ে যারে রেখেছি অন্তরে, 
স্বপ্নের মাঝে ছিল শুধু তার নাম 
কখনো কি ভেবেছি যে ফিরে পাব তারে? 

সেই নাম সেই ভাব সেই অনুরাগ 
কখনো বা হাসি আর কখনো বা রাগ, 
বহু বছরের ঋণভার বয়ে আমি আজ 
পারব না করতে যে তারে আমি ভাগ| 

ফিরে এস আজ লুটায়ে দিব যে সব 
শেষ থেকে শুরু হোক নতুন সে গাঁথা, 
দিন রাত পাশে বসে কয়ে যাব কথা 
আদরে হাসিতে আজ মেটাবো সে ব্যাথা|