Thursday, 20 March 2014

রাতজাগা

উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে আসে এক মুঠো ভালোলাগা- 
লাল টুকটুকে হাসির নেশায় মাতাল হয়ে ওঠা অপেক্ষার মুহুর্ত- 
নিশাচর পাখী ডেকে বলে যায় আসবে যে সে, 
শুধু ভাবনায় বাসা বাঁধে সেই চোখের ভাষার রুপকথা। 
শব্দের ভেসে ওঠা পর্দার পরে, উচ্ছল বাধভাঙ্গা মননদী- 
স্বপ্নের দেশে শুধু ছড়িয়ে থাকে মানবী গন্ধের রেশ, 
ছায়া কায়া একাকার শ্বেত শুভ্র বিছানার পর- 
এসেছিল সেই রক্তিম উচ্ছাস প্রাণভরা ভালোবাসা নিয়ে। 
সেই অনুচ্চারিত লাল ঠোঁটের মিষ্টি হাসির ভাষা 
গালের টোলের ভাঁজে লিখে রাখা ভালোলাগার অঙ্গীকার, 
কখনো পাগল করে কখনো বা ভেসে যায় অক্লান্ত উচ্ছাসে, 
নিশাচর নিশাচরীর শুধু বাঁচিয়ে রাখা নিজেদের মুঠোভরা ভালোলাগা। 
কথায় কথায় শুধু ভেসে যায় সময়ের স্রোত- 
ভরে ওঠে আজানা রতনে সেই লুকনো রত্ন ঘড়া, 
কখনো বা স্পর্শের ভাবনার ছোঁয়া কেপে ওঠা , 
কখনো বা সুনামীর স্রোতে ভেসে যাওয়া রমণের সুখ। 
ফিসফিস গুঞ্জন আলতো করে ছুয়ে যাওয়া বাহুমুল, 
হাতে হাত রেখে নিঃশব্দ চুম্বনে ভরে ওঠে দেহ- 
ভেসে যায় বাঁধনের ডোর শুধু ভালোথাকার অঙ্গীকারে 
রাতের শেষের বাঁশি ফিরিয়ে নিয়ে যায় গহন গোপন নিদ্রারাজ্যে।

তোমার

তোমার চুলের বন্যায় সবুজ বনভুমির চাঞ্চল্য, 
তোমার দু চোখে খুজে পাই আরব সাগরের গভীরতা- 
তোমার তীক্ষ্ণ নাকের ডগায় শিশিরের মুক্তবিন্দু, 
তোমার পেলব ঠোঁটে শিল্পীর হাতটান, 
তোমার মসৃণ গ্রীবায় মরালীর সজীবতা, 
তোমার পীণোন্নত স্তনে হিমালয়ের স্নিগ্ধ ঔদ্ধত্ত- 
তোমার সজীব উপত্যকায় ক্লোরোফিলের প্রাচুর্য, 
তোমার নাভিমুলে মানস সরোবরের শীতল আহ্বান- 
তোমার হারিয়ে যাওয়া রহস্যের অন্ধকারে স্যাঁতসেতে উষ্ণতা, 
তোমার পিঠের পাড়ে হারিয়ে যাওয়া দিগন্তের খোঁজ- 
তোমার সুডোল পায়ের গোছায় মসৃণ বৃক্ষ ত্বকের স্পর্শ, 
তোমার বাহুপাশে আশ্বাসের আহ্বান, 
তোমার নখের দর্পনে খুজে পাই আমার প্রতিবিম্ব- 
তোমার বিম্বদেশ খুজে পাওয়া নরম আশ্রয় , 
তোমার স্পর্শে দেহে বাজে বিদ্যুতের ঝঙ্কার। চুলের বন্যায় সবুজ বনভুমির চাঞ্চল্য, 
তোমার দু চোখে খুজে পাই আরব সাগরের গভীরতা- 
তোমার তীক্ষ্ণ নাকের ডগায় শিশিরের মুক্তবিন্দু, 
তোমার পেলব ঠোঁটে শিল্পীর হাতটান, 
তোমার মসৃণ গ্রীবায় মরালীর সজীবতা, 
তোমার পীণোন্নত স্তনে হিমালয়ের স্নিগ্ধ ঔদ্ধত্ত- 
তোমার সজীব উপত্যকায় ক্লোরোফিলের প্রাচুর্য, 
তোমার নাভিমুলে মানস সরোবরের শীতল আহ্বান- 
তোমার হারিয়ে যাওয়া রহস্যের অন্ধকারে স্যাঁতসেতে উষ্ণতা, 
তোমার পিঠের পাড়ে হারিয়ে যাওয়া দিগন্তের খোঁজ- 
তোমার সুডোল পায়ের গোছায় মসৃণ বৃক্ষ ত্বকের স্পর্শ, 
তোমার বাহুপাশে আশ্বাসের আহ্বান, 
তোমার নখের দর্পনে খুজে পাই আমার প্রতিবিম্ব- 
তোমার বিম্বদেশ খুজে পাওয়া নরম আশ্রয় , 
তোমার স্পর্শে দেহে বাজে বিদ্যুতের ঝঙ্কার।

রং

আবীর রাঙ্গা গালে ছুয়ে গেলো ফাগুনের ডুবন্ত সুর্য- 
  ইর্ষা কাতর আরব সাগরের হাওয়া ছুয়ে যায় চুল, 
যোজন দুরে আকাশ পানে চেয়ে থাকা ইচ্ছে 
  গালে গাল ঠেকিয়ে মেখে নেয় জীবনের রং, 
ভীষণ মিষ্টি হাসির সেই প্রাচুর্য্যের কিরণ, 
গেঁথে যায় হৃদয়ের বেড়াজালে । 
এস না উড়ে চলে আমার স্বপ্ন রাজ্যে, 
মাখাবো তোমায় আমার মনের নানা রং এ - 
পড়াবো তোমায় আমার আগুন ফুলের মালা, 
আবার ফিরে যাব অনন্ত কালের কলে পিছন ফিরে, 
যেখানে ছড়ানো আছে ভালোলাগার কড়িগুলো, 
শুধু আমায় দিও তোমার হাসির একটি টুকরো। 
কেন তুমি হারিয়ে যাও প্রতিটি মুহুর্তে আমার - 
কেড়ে নিয়ে আমার জ্যোত্স্না সমুদ্রের ধারা, 
আমি শুধু খুঁজে ফিরি তোমায় আকাশে বাতাসে বর্তমানে- 
তোমার শরীর থেকে উঠে আসা শিউলির গন্ধ, 
তোমার নরম হাতের পেলব ছোয়া আমার উষ্ণতায়, 
সকাল সুর্যের হাসি থেকে পুর্ণিমার চাদের স্নিগ্ধতায়।

Sunday, 16 March 2014

নিশাচর নিশাচরী

নিশাচর নিশাচরী কথার জাল বুনে চলে রাতের গহনে- 
হাসিতে কথাতে প্রহর কেটে রাত পার করে রাতজাগা পাখীদুটো, 
হারিয়ে যাওয়া মুহুর্তর কিছু ভাগ ছড়িয়ে থাকা মণিমালা- 
খুঁজে পেয়ে সময়ের মায়াজাল , বারে বারে ফিরে চায় । 
পরের রাতে অপেক্ষায় নিশাচর কথাসাগরের বুদবুদে ভেসে - 
পাশ দিয়ে উড়ে গেল গাংচিল ,শুধিয়ে কুশল খানি- 
বকের পাখায় লুকনো কিছু শব্দকনা ছড়িয়ে গেল পুর্ণিমার আকাশে, 
প্রথম প্রহরের শেষে ভেসে ওঠে কিছু অলস হতাশার একাকীত্বের চোরাস্রোত। 
জ্যোত্স্নার বন্যায় ভেসে ছুয়ে যায় নিশাচরী উড়ে আসে ডানা মেলে, 
কুয়াশার মুখ্ভার জ্বলে ওঠে শত তারার ঝিকিমিকি নিয়ে, 
ডানা ঝাপ্টে ডালে এসে পাশে বসে এক মুখ ভাললাগার হাসি নিয়ে, 
চোখের মিলনে ভেসে যায় ফের সময়ের বেড়াজাল। 
গুঞ্জনে গুঞ্জনে সুরের কলিতে ভেসে যাওয়া খোলা দুটি প্রাণ, 
উড়ে যায় কত চরাচরি হেঁকে ডেকে চারিপাশে- 
তবু শুধু একপ্রাণ একমন মগ্ন নেশার ঘোরে 
শুধু বুনে চলে কত শত এলোমেলো কথার গাথামালা।

Friday, 14 March 2014

স্বপ্নের রং

আবীরের রং লাল সবুজ গোলাপী- 
ওরা কোরাস গাইছে তোমার হাসির মাঝে, 
হা হা হা তাইতো তোমায় চিনতে পারিনি আমি- 
ভালবাসার রং এর খেলায় মাতাল 
আবার যদি শব্দের ঝর্ণার মাঝে ফিরে পাই তোমায় 
হয়তো খুজে বেড়াব স্বপ্নের রঙ্গীন নুড়ি পাথর- 
কোথায় কিভাবে যেন লুকিয়ে রেখেছি 
অনভ্যাসের কাল বিছিয়ে দিয়েছে ধুলোর আস্তরন, 
হঠাত কালবৈশাখী এসে দিল এলোমেলো করে, 
সেই থেকে শুধু খুঁজে ফিরি তারে 
আকাশের কোনে, মেঘের আড়ালে- 
ঘুমন্ত আমি স্বপ্নের মাঝে পাশ ফিরে হাত বাড়িয়ে 
ফিরে ফিরে আসে বাস্তবের কঠিন আবর্তে। 
তোমায় লিখব বলে বসেছি কলম হাতে 
কিছুতেই মুছে ফেলনা এই রং এর বাহার- 
বসন্তকে জিইয়ে রেখ আমার জন্য, 
আবার একদিন যদি ফিরে আসে চৈত্র শেষের ঝোড়ো বাতাস- 
ফিরিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট ছোট মুহুর্ত, 
শালবনের মাঝে আবেশের নেশায় মাতাল হয়ে 
হয়তো ছুটবো কায়াহীন সেই বনবালিকার হাতের ইশারায়- 
নিজেকে নিজের মতো করে ফিরে পাবো পাহাড়ী নদীর ধারে।

আমার তুমি

আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
জীবনের বালুচরের অন্ত : সলিলা ফল্গুধারা- 
কখনো দুর হতে নজরে আশা হাসিমুখ ধ্রুবতারা, 
কখনও বা  হঠাত ঘুমের মাঝে ভেসে ওঠা স্বপ্নবালিকা- 
কখন ও আবার দুরাভাসে বয়ে আনা সুগন্ধের ধারা। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
না পাওয়া দুঃখ বিলাসী মনের ছায়া তুমি, 
অপলকে চেয়ে থাকা অদৃশ্য বিধাতার আশীর্বাদ- 
বর্ষার বিকেলের অঝোরে ঝড়ে পরা মুক্তবিন্দু, 
বসন্তের রঙ্গীন সন্ধ্যের মায়াবী আলোকছটা- 
আমার জীবন নৌকোর দিক দর্শানো হাল। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
সুদুরে অপেক্ষারত সংসারবন্দীনি রাজকন্যা, 
ফিরিয়ে দাও আমার কৈশোরের স্বপ্ন, 
আমার যৌবনের আকুলতা ত্রস্ত দ্বিধার বেদনা, 
সযত্নে লালিত ব্যাথা হৃদয়ের গোপন অভিসার, 
দিক্শুন্যহীন স্বপ্ন রাজ্যের রমন সঙ্গীনি। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
শত সহস্র নাগ্পাশের মাঝে আমার শৃঙ্খলহীন ভালোবাসা, 
আমার কবিতার প্রতিটি চরণের উদ্গাতা, 
হারিয়ে পেয়েছি বারে বারে ফিরে ফিরে মুক্তমালা, 
আমার মহুল নেশার গহন গভীর অনুভুতি, 
মহাকালের চিত্রপটে একে রাখা মানসী- 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি।

সেই দিন

জোয়ারের টানে পৌছে সঙ্গমে- 
কিশোর প্রাণ উচাটন দিশাহারা, 
সংশয় জীবন সমুদ্রের সাথীর খোঁজে- 
সেই মায়াবী চোখের পরিচিত হাসি 
দ্বিধার সমুদ্রে ভেলায় ভাসি- 
শুধু ভেসে আসে প্রিয়জনের অট্টহাসি, 
টুকরো টুকরো বহু চেনা প্রতীক্ষার মুহুর্ত- 
পাতা ভর্তি করে লেখা চিঠির রঙ্গীন লাইনগুলো, 
হারিয়ে যাওয়া ঝগড়ার মিষ্টি পল- 
ছিড়ে ছিড়ে যাওয়া স্মৃতির জ্বালাতন, 
বহুশোনা গানের চেনা কলিগুলো- 
ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় অনাহুত ভবিষ্যতের পানে, 
চীনের প্রাচীর হয়ে দাড়ানো সংসকারের বাধা- 
বিধাতার নিজের রূপে দেয় পিছুটান, 
হতাশার মুহুর্তের আকড়ে ধরা পরিচিত হাত- 
ভবিষ্যতের ঠিকানা হয়ে বিধাতার হাতে দেয় সঁপে, 
আবার হবেতো দেখা কালের প্রাচীরের ওপারে 
মাঝসমুদ্রে মিলবে দুই ভেলা- 
জীবনের সায়াহ্নে ফিরিয়ে দিয়ে যায় 
না পাওয়া মণি মুক্তের হাতে গড়া মালা, 
কিন্তু হায় কালের কল নাড়িয়ে দিয়ে গেছে নৌকোর হাল, 
ফিরে পাওয়া শুধু অনুভূতির সাড়া, 
ইশ্বর আশীর্বাদের নামে লিখে দিয়ে যায়- 
ভবিতব্যের হলফ্নামা।

মনের রং

একগুচ্ছ বহুপ্রতীক্ষিত শব্দের ঝঙ্কার- 
যেন বহুযুগের পার হতে ভেসে আসা এক ঝলক সমুদ্রের হাওয়া, 
একটুকরো পাগল করা হাসি- 
যেন লাল পলাশের ঝড় ওঠানো বসন্তের মাতাল হাওয়া, 
উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায় আমার ইচ্ছে পাখীর ডানায় লুকিয়ে - 
বহুদুরে আরব সাগরের তীরে একমুঠো আবীরের আহ্বান, 
সেই অস্তগামী সুর্যের আলোমাখানো নরম গালের ছোয়ায় 
মুহুর্তের দুনিয়া হয়ে ওঠে আগুন রঙ এ রঙ্গীন। 
ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসে দৃশ্যমান ছবি- 
ছাতের আলিশায় দাড়ানো মেঘবরণ চুলের বন্যার আড়ালে 
বসন্তের পাগলা হাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া চুর্ণীর ঘেড়াজালে- 
ঘন কালো গভীর সেই চোখদুটোর উদাসী চাউনি , 
অদৃশ্য ভাগ্যদেবতার হাতছানি দিকনির্ধারন করে ভাগ্যের ভেলার- 
আলতো করে ছুয়ে যেতে চায় সেই নরম গালের হাতছানি- 
ফাগুনের মন কেমন করা সন্ধ্যের ডুবন্ত সুর্যের অঙ্গীকার । 
আজ ও আমার মনের মাঝে খেলে বেড়ানো ইচ্ছের দানা 
আমায় নিয়ে চলে যেতে চায় আমার স্বপ্ন দেশের ওপারে- 
যেখানে শুধু খেলব বসন্ত রং এর খেলা সে ও আমি।

আবার ফিরে এস

আশার দ্বীপ জ্বেলে বসে আছি কখন আসবে ভেসে কিছু শব্দ একান্তই আমার- 
কল্প জগতের মরীচিকা হবে বাস্তবের প্রাপ্তি, 
দিনের শেষে জ্বলে উঠবে হাজার ঝাড়বাতির আলোক ঝর্ণাধারা আমার জীবনে, 
কোথাও হয়তো বা সে জানালার ধারে অপেক্ষায় খসে পরা তারার, 
মুচকি হেসে চাঁদকে ডেকে বলে পাঠায় আসবে কখন স্বপ্নে আমার, 
এভাবেই দিন কেটে নেমে  এল রাতের তারাভরা অন্ধকারের জ্বলজ্বলে একমুঠো অবসাদ- 
একটা দিনের শেষে আবার সকাল সুর্যের আলোয় শুরু হবে আরেকটা দিন, 
আমার অপেক্ষার পলে পড়বে আবার একটি দাড়ি। 
ইতিহাস ফিসফিসিয়ে বলে যা তোমার নয় সে যে স্বপ্ন, 
শব্দের মায়াজাল হাতছানি দিয়ে ফেরে অতীতের মুহুর্তের গর্ভে- 
হাসির প্রতিটি ঝলকে লেখা নাম ভুলের মাত্রা পেয়ে  আজ ইতিহাস, 
কেন তুমি আজ ও ফিরে ফিরে শুধু এসে পড় আমার প্রতিটি জীবন মাত্রায়- 
এক ঝলক সামুদ্রিক হাওয়ার ঝাপটা মেখে দিয়ে যায় অনুভুতির নেশা, 
বিমানের জানলা দিয়ে উঁকি মেরে খুঁজে ফেরে চোখ ব্যালকনির রেলিং এ হেলান দেয়া কোন এলোচুলের বন্যা- 
এভাবেই লুকোচুরি শব্দের উচ্ছাসে জীবনের গল্পের হবে শেষ, 
সে আমি ও আমাদের জীবনগল্পের আঁকিবুঁকি কবিতার শব্দক্ল্পের ঝঙ্কার- 
আমি অপেক্ষায় আছি মহুল ফুলের গন্ধে ভরা আমার কল্পজগতের।

আমার স্বপ্ন

কালের হাওয়ায় ভেসে গেছে নৈতিকতার বোঝা- 
মুক্তি দিয়ে গেছে সে আমাদের পাপবোধের বেড়াপাশ থেকে, 
সহজপাঠের নতুন ভাগে লেখা থাকে স্বার্থসিদ্ধির প্রথম পাঠ- 
সহজ সরল নীতিকথার প্রথম চরণে উঠে আসে- 
কিভাবে নিজের আখের গোছাতে ব্যাবহার করতে হয় বেইমানির চোরাপথ, 
পৃথীবির কালচক্রের অন্তহীন ঘুর্ণনের এপিটাফের হয়তো বা এসে গেছে সন্ধিকাল, 
নতুন সুর্যের সাথে মুছে যাক গলাপচা সিস্টেমের ইতিহাস- 
রাজনীতির নতুন পাঠে উঠে আসুক মুল্যবোধের প্রথম লাইন, 
মুখে হাসি কপালে লেখা মুল্যবোধের বলিরেখায় দেখা যাক প্রত্যয়ের দৃশ্যছাপ, 
দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা  দেশের যুবসমাজের চাই স্বপ্নের রাজকুমার- 
সুনামির প্রাণপ্রাচুর্যের ছোয়া চাই আন্দোলনের গর্ভে, 
গান্ধীজির স্বপ্নপুত্রের জন্ম হোক দেশের ইতিহাসের পাতায়- 
বিপ্লবের জলসিঞ্চনে জন্ম হোক তার এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার- 
সম্মিলিত ঘৃণার জোয়ারে ভেসে যাক শকুনের নজর ভরা শুওরের খোয়াড়- 
বাতাসে ফিরে আসুক শত শতাংশ অক্সিজেনের বন্যা, 
নতুন দেশ ভেসে যাক স্নিগ্ধ  পরিচ্ছন্ন জোত্স্নার আনন্দ ধারায়, 
নতুন প্রজন্ম জন্ম নিক নতুন অঙ্গীকারের গর্ভবেদনের মাঝে, 
হায় স্বপ্নের ভারত, ফিরে এস তোমার প্রাচীন গর্বের ইতিহাসের পাতায়।

লজ্জা

জীবনের স্বপ্নে ছিল ও মশগুল- 
সকাল থেকে রাতের লড়াই কেড়ে নিতে পারেনি জীবনের রং, 
জীবিকার জোগাড়ের সাথে ছিল ভবিষ্যতের স্বপ্নের মিশেল- 
হঠাত জীবনের  একটি কালো মেঘলা দিনে নেমে এল অমাবস্যার  রাত, 
কাজের শেষে খুশীর হাওয়ায় ভর করে হাতে হাত দিয়ে প্রেমিকের সাথে 
দাড়িয়ে অপেক্ষায়- 
লাল বাসের দরজা খুলে এসে দাড়াল একরাশ ধুলো উড়িয়ে রাস্তার ধারে, 
হাসিমুখে কিছু জানোয়ার মানুশের মুখোশে জানায় সাদরে আমন্ত্রন- 
দুনিয়ার খেয়াল হারানো পায়রা দুটো গুনগুনিয়ে উঠে পড়ে গন্তব্যের দিশায়, 
হায় পৃথিবীর সব হৃদয়হীন নেকড়েরা নখের আচরে দাঁতের কামড়ে 
পুর্ণিমার চাঁদের মুখে ঢেকে দিয়ে নামিয়ে এনেছে অমাবস্যার অন্ধকার- 
নপুংশকের দল ভুলে গিয়ে মায়ের জঠরের দেনা- 
লালসার আগুনে জ্বালিয়ে দিল সেই স্বপ্নের খেলাঘর, 
দুনিয়ার বুকে লেপে দিয়ে লজ্জার কালি 
মনুষ্যতের বুকে টেনে নিয়ে অভিশাপ,্লালমুখো নেকড়েরা 
দাতে ঠোঁটে মেখে রক্তের ছোপ 
নৃশংসতার অমরত্বে আঘাতের ভারে জর্জরিত কোমল প্রাণ আজ হাসপাতালের বিছানায়- 
পৃথিবীর পৌরুষ আজ লজ্জায় মাথা নত শতকোটি মায়েদের সনে, 
দেশজুড়ে ওঠা মানব শমন অপরাধীদের দেয় চরম শাস্তি- 
হায় ঈশ্বর কেন তুমি আজ ও জন্ম দাও এ সুন্দর পৃথিবীতে নরপশুদের - 
হয়তো তোমার মাথাও আজ লজ্জায় নত পৃথিবীর কাছে সৃষ্টিকর্তার রূপে। 
বয়েএল সে সংবাদ ও চলে গেছে নতমুখে পৃথিবীর কাটিয়ে মায়া- 
শুধু রেখে গেছে মানব জাতির তরে একরাশ লজ্জা।

ওরা

অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ব্যাস্ত ওদের- 
    কখনো কি জেনেছ কোথায় জড়ানো সমস্যা , 
কাঁচের স্বর্গ থেকে নেমে এসে জানতে চেয়েছ কি তুমি 
   কোন ভাষায় লেখা আছে সেই বারোমাস্যা? 
ভোরের সুর্যকে সাক্ষী রেখে মাঠে যায় চলে- 
  শুকনো রুটির কামড়ে দিনের শুরুতে কাঠিন্যের দিশা, 
রাতের আঁধারে ফেরার পথে বাজার পরে 
  কিন্তু সব্জী কেনার পয়সায় চলে হাড়িয়ার নেশা। 
দিনের কঠিন পরিশ্রমে গড়ে ওঠে বহুতল আশা 
   রাতের আশ্রয় তার তরে বাধা সেই এক্চালা - 
আয়করের চিন্তা নেই কোন রাতের ঘুমে  কুম্ভকর্ণ 
  রাত জেগে বসে দেখে পরিজন সাথে যাত্রার পালা। 
ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বপ্নে কখনো হয় না মশগুল 
  দিনের বাঁচাটা শুধু বর্তমানের জন্যই বাঁচা- 
মুদ্রাস্ফীতির নেই কোন মানে তার কাছে 
  শুধু এক মুঠো হাসি নিয়ে ঘিরে থাকা কচিকাঁচা। 
মনের আগুন চেপে রেখে পারে না তারা হাসতে মেকী 
  ভদ্রতার মুখোশ পড়ে চালায় না ছুরি , 
দোকানের বাকী মেটাতে না পেরে বেঁচে ঘটি বাটি 
  পেটের খোঁজে তাই পরিজন ছেড়ে দেয় দুরদেশে পাড়ি। 
সভ্যতার মানদন্ডে মেপে তুমি কখনো পাবে না ওদের মাপ 
  শুধু অবাক হয়ে ভাববে বসে কোথায় লুকনো সুখের চাবি- 
আমাদের পৃথিবীর বাইরে রাখা দুনিয়ায় লুকনো এক 
পৃথিবী যেখানে তোমার সব আশা ভরসা খাচ্ছে খাবি। 
চলো নেমে যাই মাটির কাছে তাদের মনের মাঝে 
হয়তো খুঁজে পাবে লুকিয়ে রাখা সোনার খনি- 
দুঃখ বোধের বন্ধন ছেড়ে সুখের খোঁজে 
  কুড়িয়ে নিতে সেথায় ছড়িয়ে রাখা মুক্তমণি।

আজ ও ফিরে এল

সন্ধ্যের বসন্ত বাতাস যখন দিনের শেষের জানান দিয়ে লাগলো আমার পালে, 
কর্মশেষের ক্লান্তি কে ভুলিয়ে এলো  যখন বার্তাবহের শব্দ ভান্ডার, 
জীবনের পাতায় লেখা হলো আরেকটি দিনের গল্প, 
মনের পাখী খাঁচা ছাড়া হয়ে উড়ে গেলো সেই নীল আকাশের বুকে, 
প্রতিটি শব্দের অনুভূতি ছড়িয়ে গেলো রক্তের অনুপরমাণুতে- 
হৃদয়ের আকুতি রূপ নিল আনন্দের শিহরণে । 
আশার অপেক্ষা ঘন হয়ে আসে মনের গভীরে রাতের অন্ধকারের মাঝে, 
হয়তো বা আবার আসিবে ফিরে মুহুর্তগুলো নিজের রূপ গন্ধ নিয়ে- 
জীবনের কল্পহীন রাতের কায়া বয়ে নিয়ে চলে স্বপ্নের দোরগড়ায়, 
ঘন কালো রাতের আকাশ হয়ে ওঠে  রঙ্গীন স্বপ্নের আবেশে - 
ভাবের ভেলায় চড়ে মন উড়ে চলে পাহাড় সমুদ্র ছাড়িয়ে মহাকাশের ব্যাপ্তিতে, 
এভাবেই সে ফিরে ফিরে আসে জীবনের প্রতিটি পাতায় প্রতিদিন। 
হঠাত ঘুম ভেঙ্গে উঠে  হাতখানি খোঁজে ফেরে স্পর্শের ছোঁয়া, 
শুন্যতার প্রতিলিপি লেখা চাদরের কোনে এক অজানা ইচ্ছের জোয়ার- 
রক্তের অনুকণা খুজে পায় তপ্ত শ্বাসের ছোঁয়া কল্প শারীরিক রূপে, 
দুর সাগরের পারে প্রিয়া তব বাহুবন্ধনে অশরীরি ডোরে- 
মানবিক রূপে কেন যেন আমি খুজে ফিরি তারে যুগান্তের পারে, 
আবর্তনের ধোঁয়াশা আমায় শুধু ফিরিয়ে দিতে চায় আমার একান্ত আপন প্রিয়া।

আগামীদিনের বার্তা

কেউ একজন বলেছে ভীষণ কাছে থেকে অতীত বিলাসে কি সুখ? 
হারানোর দুঃখ, না পাওয়ার হাহাকার ছেড়ে ভাব না সামনের সেই সোনালী দিনগুলো-
যেখানে ছড়িয়ে থাকা ভালোলাগার নুড়ি গুলো এলমেলো পড়ে আছে , 
ঠিক যেন আমাদেরই কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য কোন এক বসন্তের সন্ধ্যায়- 
সমুদ্রধারের বেলাভুমিতে মাতাল করা হাওয়ার মাঝে  খুঁজে পাওয়া সেই মসৃণ ভালোবাসা। 
অতীতের মায়াজাল ঘিরে থাকে শুধু অস্তিত্বের দ্বন্দের ছন্দহীনতার মাঝে, 
রাতের স্বপ্নের শেষে ভোরের সুর্য হাসি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে জীবনের বাগানে, 
নতুন দিনের শুরু আবার ভাবায় তোমার সেই পাগল করা হাসি, 
আবার ক্যান্ভাসে ফিরে আসে নতুন তুলির টান শিল্পীর হাতে- 
জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে ফিরে আসে ক্লোরোফিলের সজীব স্পন্দন। 
পলাশের লাল আগুনে জ্বলে ওঠা বসন্তের প্রাণস্পন্দনে 
ভালোবাসার তন্ত্রীতে ওঠে মৈথুনের কোলাহল, 
সায়াহ্নের ছবি যখন হয়ে ওঠে স্পষ্ট অতীতের ঝাপসা হয়ে যাওয়া দর্পণের প্রতিফলনে, 
কঠিন বাস্তবের কর্ম ব্যাস্ততা  ভুলিয়ে দেয়  জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা, 
তবু সেই সোনালী দিনের হাতছানি ভাসিয়ে নেয় মোদের, 
কালজয়ী প্রেমের কাহিনী লেখা থাকে শুধু মনের পাতায় অমলিন হস্তাক্ষরে।