Thursday, 20 March 2014

রাতজাগা

উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে আসে এক মুঠো ভালোলাগা- 
লাল টুকটুকে হাসির নেশায় মাতাল হয়ে ওঠা অপেক্ষার মুহুর্ত- 
নিশাচর পাখী ডেকে বলে যায় আসবে যে সে, 
শুধু ভাবনায় বাসা বাঁধে সেই চোখের ভাষার রুপকথা। 
শব্দের ভেসে ওঠা পর্দার পরে, উচ্ছল বাধভাঙ্গা মননদী- 
স্বপ্নের দেশে শুধু ছড়িয়ে থাকে মানবী গন্ধের রেশ, 
ছায়া কায়া একাকার শ্বেত শুভ্র বিছানার পর- 
এসেছিল সেই রক্তিম উচ্ছাস প্রাণভরা ভালোবাসা নিয়ে। 
সেই অনুচ্চারিত লাল ঠোঁটের মিষ্টি হাসির ভাষা 
গালের টোলের ভাঁজে লিখে রাখা ভালোলাগার অঙ্গীকার, 
কখনো পাগল করে কখনো বা ভেসে যায় অক্লান্ত উচ্ছাসে, 
নিশাচর নিশাচরীর শুধু বাঁচিয়ে রাখা নিজেদের মুঠোভরা ভালোলাগা। 
কথায় কথায় শুধু ভেসে যায় সময়ের স্রোত- 
ভরে ওঠে আজানা রতনে সেই লুকনো রত্ন ঘড়া, 
কখনো বা স্পর্শের ভাবনার ছোঁয়া কেপে ওঠা , 
কখনো বা সুনামীর স্রোতে ভেসে যাওয়া রমণের সুখ। 
ফিসফিস গুঞ্জন আলতো করে ছুয়ে যাওয়া বাহুমুল, 
হাতে হাত রেখে নিঃশব্দ চুম্বনে ভরে ওঠে দেহ- 
ভেসে যায় বাঁধনের ডোর শুধু ভালোথাকার অঙ্গীকারে 
রাতের শেষের বাঁশি ফিরিয়ে নিয়ে যায় গহন গোপন নিদ্রারাজ্যে।

তোমার

তোমার চুলের বন্যায় সবুজ বনভুমির চাঞ্চল্য, 
তোমার দু চোখে খুজে পাই আরব সাগরের গভীরতা- 
তোমার তীক্ষ্ণ নাকের ডগায় শিশিরের মুক্তবিন্দু, 
তোমার পেলব ঠোঁটে শিল্পীর হাতটান, 
তোমার মসৃণ গ্রীবায় মরালীর সজীবতা, 
তোমার পীণোন্নত স্তনে হিমালয়ের স্নিগ্ধ ঔদ্ধত্ত- 
তোমার সজীব উপত্যকায় ক্লোরোফিলের প্রাচুর্য, 
তোমার নাভিমুলে মানস সরোবরের শীতল আহ্বান- 
তোমার হারিয়ে যাওয়া রহস্যের অন্ধকারে স্যাঁতসেতে উষ্ণতা, 
তোমার পিঠের পাড়ে হারিয়ে যাওয়া দিগন্তের খোঁজ- 
তোমার সুডোল পায়ের গোছায় মসৃণ বৃক্ষ ত্বকের স্পর্শ, 
তোমার বাহুপাশে আশ্বাসের আহ্বান, 
তোমার নখের দর্পনে খুজে পাই আমার প্রতিবিম্ব- 
তোমার বিম্বদেশ খুজে পাওয়া নরম আশ্রয় , 
তোমার স্পর্শে দেহে বাজে বিদ্যুতের ঝঙ্কার। চুলের বন্যায় সবুজ বনভুমির চাঞ্চল্য, 
তোমার দু চোখে খুজে পাই আরব সাগরের গভীরতা- 
তোমার তীক্ষ্ণ নাকের ডগায় শিশিরের মুক্তবিন্দু, 
তোমার পেলব ঠোঁটে শিল্পীর হাতটান, 
তোমার মসৃণ গ্রীবায় মরালীর সজীবতা, 
তোমার পীণোন্নত স্তনে হিমালয়ের স্নিগ্ধ ঔদ্ধত্ত- 
তোমার সজীব উপত্যকায় ক্লোরোফিলের প্রাচুর্য, 
তোমার নাভিমুলে মানস সরোবরের শীতল আহ্বান- 
তোমার হারিয়ে যাওয়া রহস্যের অন্ধকারে স্যাঁতসেতে উষ্ণতা, 
তোমার পিঠের পাড়ে হারিয়ে যাওয়া দিগন্তের খোঁজ- 
তোমার সুডোল পায়ের গোছায় মসৃণ বৃক্ষ ত্বকের স্পর্শ, 
তোমার বাহুপাশে আশ্বাসের আহ্বান, 
তোমার নখের দর্পনে খুজে পাই আমার প্রতিবিম্ব- 
তোমার বিম্বদেশ খুজে পাওয়া নরম আশ্রয় , 
তোমার স্পর্শে দেহে বাজে বিদ্যুতের ঝঙ্কার।

রং

আবীর রাঙ্গা গালে ছুয়ে গেলো ফাগুনের ডুবন্ত সুর্য- 
  ইর্ষা কাতর আরব সাগরের হাওয়া ছুয়ে যায় চুল, 
যোজন দুরে আকাশ পানে চেয়ে থাকা ইচ্ছে 
  গালে গাল ঠেকিয়ে মেখে নেয় জীবনের রং, 
ভীষণ মিষ্টি হাসির সেই প্রাচুর্য্যের কিরণ, 
গেঁথে যায় হৃদয়ের বেড়াজালে । 
এস না উড়ে চলে আমার স্বপ্ন রাজ্যে, 
মাখাবো তোমায় আমার মনের নানা রং এ - 
পড়াবো তোমায় আমার আগুন ফুলের মালা, 
আবার ফিরে যাব অনন্ত কালের কলে পিছন ফিরে, 
যেখানে ছড়ানো আছে ভালোলাগার কড়িগুলো, 
শুধু আমায় দিও তোমার হাসির একটি টুকরো। 
কেন তুমি হারিয়ে যাও প্রতিটি মুহুর্তে আমার - 
কেড়ে নিয়ে আমার জ্যোত্স্না সমুদ্রের ধারা, 
আমি শুধু খুঁজে ফিরি তোমায় আকাশে বাতাসে বর্তমানে- 
তোমার শরীর থেকে উঠে আসা শিউলির গন্ধ, 
তোমার নরম হাতের পেলব ছোয়া আমার উষ্ণতায়, 
সকাল সুর্যের হাসি থেকে পুর্ণিমার চাদের স্নিগ্ধতায়।

Sunday, 16 March 2014

নিশাচর নিশাচরী

নিশাচর নিশাচরী কথার জাল বুনে চলে রাতের গহনে- 
হাসিতে কথাতে প্রহর কেটে রাত পার করে রাতজাগা পাখীদুটো, 
হারিয়ে যাওয়া মুহুর্তর কিছু ভাগ ছড়িয়ে থাকা মণিমালা- 
খুঁজে পেয়ে সময়ের মায়াজাল , বারে বারে ফিরে চায় । 
পরের রাতে অপেক্ষায় নিশাচর কথাসাগরের বুদবুদে ভেসে - 
পাশ দিয়ে উড়ে গেল গাংচিল ,শুধিয়ে কুশল খানি- 
বকের পাখায় লুকনো কিছু শব্দকনা ছড়িয়ে গেল পুর্ণিমার আকাশে, 
প্রথম প্রহরের শেষে ভেসে ওঠে কিছু অলস হতাশার একাকীত্বের চোরাস্রোত। 
জ্যোত্স্নার বন্যায় ভেসে ছুয়ে যায় নিশাচরী উড়ে আসে ডানা মেলে, 
কুয়াশার মুখ্ভার জ্বলে ওঠে শত তারার ঝিকিমিকি নিয়ে, 
ডানা ঝাপ্টে ডালে এসে পাশে বসে এক মুখ ভাললাগার হাসি নিয়ে, 
চোখের মিলনে ভেসে যায় ফের সময়ের বেড়াজাল। 
গুঞ্জনে গুঞ্জনে সুরের কলিতে ভেসে যাওয়া খোলা দুটি প্রাণ, 
উড়ে যায় কত চরাচরি হেঁকে ডেকে চারিপাশে- 
তবু শুধু একপ্রাণ একমন মগ্ন নেশার ঘোরে 
শুধু বুনে চলে কত শত এলোমেলো কথার গাথামালা।

Friday, 14 March 2014

স্বপ্নের রং

আবীরের রং লাল সবুজ গোলাপী- 
ওরা কোরাস গাইছে তোমার হাসির মাঝে, 
হা হা হা তাইতো তোমায় চিনতে পারিনি আমি- 
ভালবাসার রং এর খেলায় মাতাল 
আবার যদি শব্দের ঝর্ণার মাঝে ফিরে পাই তোমায় 
হয়তো খুজে বেড়াব স্বপ্নের রঙ্গীন নুড়ি পাথর- 
কোথায় কিভাবে যেন লুকিয়ে রেখেছি 
অনভ্যাসের কাল বিছিয়ে দিয়েছে ধুলোর আস্তরন, 
হঠাত কালবৈশাখী এসে দিল এলোমেলো করে, 
সেই থেকে শুধু খুঁজে ফিরি তারে 
আকাশের কোনে, মেঘের আড়ালে- 
ঘুমন্ত আমি স্বপ্নের মাঝে পাশ ফিরে হাত বাড়িয়ে 
ফিরে ফিরে আসে বাস্তবের কঠিন আবর্তে। 
তোমায় লিখব বলে বসেছি কলম হাতে 
কিছুতেই মুছে ফেলনা এই রং এর বাহার- 
বসন্তকে জিইয়ে রেখ আমার জন্য, 
আবার একদিন যদি ফিরে আসে চৈত্র শেষের ঝোড়ো বাতাস- 
ফিরিয়ে দেয় হারিয়ে যাওয়া সেই ছোট ছোট মুহুর্ত, 
শালবনের মাঝে আবেশের নেশায় মাতাল হয়ে 
হয়তো ছুটবো কায়াহীন সেই বনবালিকার হাতের ইশারায়- 
নিজেকে নিজের মতো করে ফিরে পাবো পাহাড়ী নদীর ধারে।

আমার তুমি

আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
জীবনের বালুচরের অন্ত : সলিলা ফল্গুধারা- 
কখনো দুর হতে নজরে আশা হাসিমুখ ধ্রুবতারা, 
কখনও বা  হঠাত ঘুমের মাঝে ভেসে ওঠা স্বপ্নবালিকা- 
কখন ও আবার দুরাভাসে বয়ে আনা সুগন্ধের ধারা। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
না পাওয়া দুঃখ বিলাসী মনের ছায়া তুমি, 
অপলকে চেয়ে থাকা অদৃশ্য বিধাতার আশীর্বাদ- 
বর্ষার বিকেলের অঝোরে ঝড়ে পরা মুক্তবিন্দু, 
বসন্তের রঙ্গীন সন্ধ্যের মায়াবী আলোকছটা- 
আমার জীবন নৌকোর দিক দর্শানো হাল। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
সুদুরে অপেক্ষারত সংসারবন্দীনি রাজকন্যা, 
ফিরিয়ে দাও আমার কৈশোরের স্বপ্ন, 
আমার যৌবনের আকুলতা ত্রস্ত দ্বিধার বেদনা, 
সযত্নে লালিত ব্যাথা হৃদয়ের গোপন অভিসার, 
দিক্শুন্যহীন স্বপ্ন রাজ্যের রমন সঙ্গীনি। 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি, 
শত সহস্র নাগ্পাশের মাঝে আমার শৃঙ্খলহীন ভালোবাসা, 
আমার কবিতার প্রতিটি চরণের উদ্গাতা, 
হারিয়ে পেয়েছি বারে বারে ফিরে ফিরে মুক্তমালা, 
আমার মহুল নেশার গহন গভীর অনুভুতি, 
মহাকালের চিত্রপটে একে রাখা মানসী- 
আমার আনন্দ সাগরের বুদ্বুদ তুমি।

সেই দিন

জোয়ারের টানে পৌছে সঙ্গমে- 
কিশোর প্রাণ উচাটন দিশাহারা, 
সংশয় জীবন সমুদ্রের সাথীর খোঁজে- 
সেই মায়াবী চোখের পরিচিত হাসি 
দ্বিধার সমুদ্রে ভেলায় ভাসি- 
শুধু ভেসে আসে প্রিয়জনের অট্টহাসি, 
টুকরো টুকরো বহু চেনা প্রতীক্ষার মুহুর্ত- 
পাতা ভর্তি করে লেখা চিঠির রঙ্গীন লাইনগুলো, 
হারিয়ে যাওয়া ঝগড়ার মিষ্টি পল- 
ছিড়ে ছিড়ে যাওয়া স্মৃতির জ্বালাতন, 
বহুশোনা গানের চেনা কলিগুলো- 
ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায় অনাহুত ভবিষ্যতের পানে, 
চীনের প্রাচীর হয়ে দাড়ানো সংসকারের বাধা- 
বিধাতার নিজের রূপে দেয় পিছুটান, 
হতাশার মুহুর্তের আকড়ে ধরা পরিচিত হাত- 
ভবিষ্যতের ঠিকানা হয়ে বিধাতার হাতে দেয় সঁপে, 
আবার হবেতো দেখা কালের প্রাচীরের ওপারে 
মাঝসমুদ্রে মিলবে দুই ভেলা- 
জীবনের সায়াহ্নে ফিরিয়ে দিয়ে যায় 
না পাওয়া মণি মুক্তের হাতে গড়া মালা, 
কিন্তু হায় কালের কল নাড়িয়ে দিয়ে গেছে নৌকোর হাল, 
ফিরে পাওয়া শুধু অনুভূতির সাড়া, 
ইশ্বর আশীর্বাদের নামে লিখে দিয়ে যায়- 
ভবিতব্যের হলফ্নামা।